পৌষ ও মাঘ জুড়ে আমনের ভরা মৌসুম। উৎপাদন ও খাদ্য বিভাগের সংগ্রহ অভিযান আশানুরুপ হয়নি। চাহিদা মেটাতে দফায় দফায় ভারত থেকে চাল আমদানি করতে হচ্ছে। বয়রার কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদামে আমদানিকৃত চালে পোকা মরণ কামড় দিয়েছে। মহানগরীর এলাকার মহেশ্বরপাশা ও বয়রাস্থ কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদামের ১২২টি সেডে মজুদকৃত চালের পরিমান ৪৭ হাজার মে. ট.। কীটনাশক প্রয়োগ করেও পোকা দমন করা যাচ্ছে না ।
সূত্র জানান, অসময়ে বৃষ্টি হওয়ায় এবারের আমন আবাদ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পাইকগাছা, ডুমুরিয়া, ফুলতলা ও রুপসা উপজেলায় উৎপাদন আশানুরুপ হয়নি। খাদ্য বিভাগের আমন সংগ্রহ আভিযান পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। বাজারে মোটা চাল সর্বনিম্ন ৫০-৫২-৫৪টাকা কেজি, ইরি-২৮ জাতের মাঝারী ধরনের চাল ৫৯-৬৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে । এ তথ্য জেলা খাদ্য দপ্তরের। স্থানীয় বাজারে সংকট মেটাতে ছুটির দিন বাদে পাঁচ কার্যদিবসে ওএমএস এর ২০ জন ডিলারের মাধ্যমে ২০ মে. ট. চাল ভোক্তার হাতে পৌঁছায়। এছাড়া সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে সেনা, নৌ, র্র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, মাদক নিয়ন্ত্রন দপ্তর, ফায়ার র্সাভিস ও কারাবন্দিদের জন্য প্রতি মাসে ১৯ মে. ট . চাল সরবারাহ করা হয়।
খাদ্য কর্মকর্তার তথ্যমতে, মহেশ্বরপাশা ও বয়রাস্থ কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদামের ধারণক্ষমতা এক লাখ ৫৮ হাজার মে. ট.। মজুদ আছে ৪৭ হাজার মে. ট.। অভ্যন্তরীন বাজারের চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে প্রতি কেজি চাল ৫৪ টাকা ৮০ পয়সা দরে কিনতে হয়। ভারতের কলকাতা, হলদিয়া, কুলপি ও ফারাক্কা নৌ-বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত চাল মোংলা, নগরীর চার নং ঘাট ও মহেশ্বরপাশায় পৌঁছায়। ওএমএস ডিলারদের কাছে কেজি প্রতি ২৮ টাকা এবং ভোক্তা কেজি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়।
সহকারী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (অঃ দঃ) মো. তৈয়েবুর রহমান জানান, গুদমের পোকা দমনের জন্য পিরিমিফস ট্যাবলেট ও ফেনট্রিথিয়ন তরল কীটনাশক ব্যবহার করা হয়েছে। চাল খাবার অনুপযোগী হয়নি। মজুদকৃত চাল থেকে ছুটির দিন বাদে ডিলারদের মাধ্যমে ওএমএস পদ্ধতিতে চাল সরবরাহ হচ্ছে। এতে বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রনে আছে। মে মাস নাগাদ বোরো বাজারে আসলে দাম আরও কমবে। রমজানে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে চাল বিক্রি হবে। ফলে উৎবেগ ও উৎকন্ঠার কারণ নেই।
মহেশ্বরপাশা কেন্দ্রীয় খাদ্যগুদামের ব্যবস্থাপক মো. মোশাররফ হোসেনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারিতে তিন শ’ মে. ট.ও ফেব্রুয়ারি মাসে সাত শ’ মে. ট. চাল ভারত থেকে এ গুদামে এসেছে। কীটনাশক দমনের চেষ্টা আবাহত রয়েছে। এ গুদামে পাঁচ হাজার মে. ট. চাল এবং ১৫ হাজার মে. ট. গম মজুদ রয়েছে। গেল বছর এ গুদমে ৫০ হাজার মেঃ.টঃ. খাদ্যশস্য মজুদ ছিল।
খুলনা গেজেট/এএজে